১.প্রথমে যে বিষয়টি দেখতে হবে সেটি হল রোগীর জীবনীশক্ত, মানসিক লক্ষণ, তারপর রোগীর
রোগ লক্ষণ বিচার করিয়া ঔষধ এবং ঔষধের মাত্রা নির্বাচন করতে হবে। মুমুর্ষ রোগীকে কখনও
উচ্চ মাত্রার ঔষধ প্রয়োগ করা যাবে না।
২. যে কোন চিকিৎসা(এ্যালোপ্যাথিক,কবিরাজী) করার পর যদি কোন রোগী হোমিও চিকিৎসা নিতে
আসে তাহলে প্রথমে নাক্স অথবা সালফার ৬/৩০ শক্তি দুই এক মাত্রা সেবন করিয়ে তারপর লক্ষণ
অনুসারে ঔষধ প্রয়োগ করিতে হবে।
৩. হোমিও ঔষধ সেবন কালে চা, কফি, পান, সুপারী, তামাক, জর্দা, গুল, কাঁচা পেয়াজ, কর্পুর,
মদ্যপান, ধূমপান ইত্যাদি পরিহার করতে হবে। সুগন্ধী বা তীব্র গন্ধ যুক্ত কোন কিছু ব্যবহার
করা যাবে না। ঔষধ সেবনের এক ঘন্টা পূর্বে ও পরে পানাহার করা নিষিন্ধ।
৪. রোগীর অবস্থা অনুযায়ী ঔষধের শক্তি ও মাত্রা পরিবর্তন করা যায়। হোমিও ঔষধ প্রয়োগের
নিয়ম অনুসারে ঔষধের শক্তি পরিবর্তন করতে হবে।
৫. কোন রোগীর দেহে ঔষধের প্রথম মাত্রা প্রযোগ করার পর দ্বিতীয় মাত্রা প্রয়োগ করার আগে
প্রথম মাত্রার ক্রীয়াকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।তারপর ঔষধের দ্বিতীয় মাত্রা প্রয়োগ
করতে হবে।যদি ঔষধ চলাকালীন সময় কোন নতুন লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে সেই লক্ষণ অনুযায়ী ঔষধ
প্রয়োগ করতে হবে।
৬. অনেক সময় দেখা যায় যে রোগীর রোগ লক্ষণ ও ঔষধের লক্ষণ মিল থাকা সর্তেও রোগের কোন
পরিবর্তন হচ্ছে না। তখন উক্ত ঔষধের উচ্চ শক্তি প্রয়োগ করতে হবে। ঔষধ জলে মিশিয়ে ৬/৭
টি ঝাকি মরলে ঔষধের শক্তি পরিবর্তন হয়।
৭. কোন রোগীর ঔষধ নির্বাচনের পর, ঔষধ প্রয়োগের পূর্বে ঔষধটি বিশুদ্ধ কিনা তা যাচাই
করে নিতে হবে। একজন চিকিৎকের সুনাম কিন্তু অনেকাংশ নির্ভর করে ভাল মানের ঔষধের উপর।
তাই সব সময় ভাল ও বিশ্বস্ত এবং সুনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান এর ঔষধ ক্রয় করতে হবে।
৮. রোগীর রোগের ঔষধ নির্বাচের সময় একজন চিকিৎসকে সাহসী ও সুবিবেচক হতে হবে। দ্বিধা,
দ্বন্দ, ভয়, অস্থিরতা, এবং আবেগ পরিহার করতে হবে।
৯. রোগীর চিকিৎসার পূর্বে রোগীলিপী প্রস্তুত করতে হবে। তার মধ্যে রোগীর রোগ লক্ষণ,
শারিরিক লক্ষণ ও অন্যান্য লক্ষণ গুলো লিপীবদ্ধ করতে হবে।
১০. সর্বপরি বলা যায় যে গুনাবলি না থাকলেই না, সেটি হচ্ছে সুশিক্ষিত ও সুচরিত্রের অধিকারী।
0 Comments